গোলাম রাব্বি,জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিজেদের আগুনে পুড়ে অঙ্গার উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠন। প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদার ও তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীরের মধ্যে গৃহবিবাদ দীর্ঘদিন ধরে। আর এ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয় গত বছরের (১৫ অক্টোবর)।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু মিলে জেলা বিএনপি তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়। এতে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বেনজির আহমেদ শফি ও সদস্য সচিব প্রভাষক সাইদুর রহমান মনোনীত করে কমিটি গঠন করা হয়। আর তখন থেকেই দুটি ভাগে বিভক্ত হওয়ার প্রকাশ্যে রূপ নেয়। পরে ওই কমিটিকে অবৈধ দাবি করে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে গত ১ ডিসেম্বর আরেকটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেয়।
তখন খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে তৃণমূলের মতামত না নিয়ে জেলায় বসে পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। পরে জয়নুল আবেদীন মাহবুবকে আহ্বায়ক এবং আব্দুল বারিক খন্দকারকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এমনকি তারেক রহমানের জন্মদিনেও দুটিভাগে বিভক্ত হয়ে জন্মদিন পালন করা হয়েছে। যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীও পালন করেছে দুই ভাগে। এছাড়া আগামী তাড়াশ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলটি।
এখানে সাবেক সাংসদ আব্দুল মান্নান তালুকদারের গ্রুপের মধ্যে আবার দুটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। গ্রুপ দুটি হলো বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স.ম আফসার আলী, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান টুটুল গ্রুপ ও যুবদলের সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল হাকিম, সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া। আরেক গ্রুপ বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর এর গ্রুপ মিলে এখন তিনটি ভাগে ভাগ হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রভাষক আব্দুল হাকিম জানান, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নেই শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং তাড়াশ উপজেলা বিএনপির কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমেই হবে। বিএনপির মতো বৃহত্তম দলের কমিটি সিলেকশন হতে পারে না।
বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স. ম আফসার আলী বলেন, জেলা বিএনপির নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা বিএনপির কার্যক্রম চলে। সেখানে দলের বাহিরে যদি কেউ প্রোগ্রাম করেন। সেটা করার এখতিয়ার তার নেই। জেলা বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবেন। কমিটি নির্বাচনের মাধ্যমে হবে না কিভাবে হবে।
তাড়াশ বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আওয়ামী লীগের কমিটি হয় ভোটে, আর বিএনপির কমিটি হয় নোটে (টাকা)। আর একারণে বিএনপির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাড়াশে সাবেক সাংসদ আব্দুল মান্নান তালুকদার বারবার পকেট কমিটি করার জন্য তৃণমূল বিএনপিতে গ্রুপিং চলছে। আমার চাওয়া নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হোক ও শান্তি পূর্ণ ভাবে সবাই দলের জন্য।
Leave a Reply