কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারের দোকান মালিক সিএনজি অটো চালকের ঘুষির আঘাতে নিহত জুয়েল আহমেদ (৪৫) হত্যা মামলার আসামিরা ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি । মামলার আসামীদের রক্ষা করার জন্য একটি প্রভাবশালী চক্র কাজ করছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী বুশরা বেগম। তবে পুলিশ বলছে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী জোর তৎপরতা চলছে।
জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর বাজারে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২১ জুন সকাল সাড়ে ১১টায় শিংরাউলী গ্রামের সিএনজি অটো চালক আহাদ মিয়ার ছেলে মুন্না মিয়া ও তার আত্মীয় আফিল মিয়ার ছেলে তুরন মিয়া অতর্কিতভাবে এসে একই এলাকার মুকুল মিয়ার ছেলে বাপ্পা মিয়াকে বেদড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় মুকুল মিয়ার বন্ধু দোকান মালিক জুয়েল আহমেদ প্রতিবাদ করেছিলেন। পরে হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে এসে সিএনজি অটো চালক শারফিন মিয়ার নেতৃত্বে একদল সিএনজি অটোচালক অতর্কিতে এসে জুয়েল আহমেদকে কিলঘুষি মারলে ঘটনাস্থলে সে গুরুরতভাবে আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত জুয়েল আহমেদের স্ত্রী বুশরা বেগম বাদি হয়ে বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তবে মামলা দায়েরের ২০ দিন গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী বুশরা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারিনি। পুরো শমশেরনগরবাসী জানেন একটি প্রভাবশালী চক্র হত্যাকারীদের রক্ষার চেষ্টা করছে। ঘটনার পর থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র হত্যাকারীদের সার্বিকভাবে সাহায্য করছে। পুলিশ মরিয়া হয়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলেও পারছে না। তার কারণ এই চক্রটি ও কয়েকজন সিএনজি অটো চালক হত্যাকারীদের পরিবারে আর্থিক সহায়তা করতে চাঁদা তোলা শুরু করেছেন।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে জোর অভিযান চলছে।
আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল), কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে জোর পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply