আব্দুল বাছিত খান ঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কমলগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে বাহারী ব্যনার পোষ্টারে জানান দিচ্ছেন প্রার্থীতা।
নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না করলেও আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ও সদস্য পদে একইভাবে দলীয় আনুকূল্য পেতে সংশ্লিষ্টরা দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে নিজের পক্ষে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। এদিকে দলীয় প্রার্থীর বাহিরে অন্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এলাকায় জনগন ও ভোটারদের নিকট দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করে নিরবে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। নিকট অতীতের নির্বাচন অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই মনে করছেন দলীয় হাইকমান্ডের কাছে সমর্থন আদায় করতে পারলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ও অন্যান্য পদে দলীয় আনুকূল্য পেলে বিজয় সুনিশ্চিত। তাই এ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সুকৌশলে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। চলছে নিজের লোকদের দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া চমকপ্রদ প্রচারণা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা উর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে নিজ নিজ পক্ষে শক্তিশালী সমর্থক বলয় তৈরি করে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে না পারলেও নানা বিয়ের অনুষ্ঠান,সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অনুদান দিয়ে জনগণের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন। কিছু প্রার্থীদের তৎপরতা দেখলে মনে হতে পারে রাত পোহালেই যেন ভোট। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো এখনই প্রায় সরগরম।
কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ও হাটবাজারে চায়ের আড্ডায় জমে উঠেছে ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আলোচনা। কে মনোনয়ন পাচ্ছেন আবার কে পাচ্ছেন না এসব নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। অপরদিকে এবারের স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক দলগুলো নিরপেক্ষ ভূমিকা বজায় রাখলে তৃণমূল পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদে সঠিক ও স্বচ্ছ জনপ্রতিনিধি ঠাঁই পেতে পারেন বলে মনে করেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply