স্টাফ রিপোর্টারঃ হামলার ভিডিও ধারণ করায় এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীয়তপুর প্রতিনিধি ও শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান পারভেজকে (৪১) পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের ১টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পালং স্কুলের সামনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা করেন সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় শরীয়তপুর সদর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
ওই সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে রোকনুজ্জামান পারভেজ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। হঠাৎ দোকানের সামনে শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক এসে এক নারীকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করছিল। তখন সাংবাদিক পারভেজের দোকানে ঢুকে ওই নারী। তখন ওই সন্ত্রাসীদের দোকান থেকে বের হতে বলেন পারভেজ। তখন সন্ত্রাসীরা দোকান থেকে বের না হয়ে, আবারও ওই নারীকে মারধর করেন। মারধরের ওই ভিডিও ধারণ করার কারণে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা শুরু করে। তখন সন্ত্রাসীরা ভিডিও করছে কেন বলে পারভেজকে কিল-ঘুষি মারে ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তাছাড়া পারভেজের দোকানের ক্যাশে রাখা এবং সঙ্গে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এদিকে নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের বাবা আবুল কাশেম মিয়া বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না। যদি আমার ছেলেরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। তাদের বিচার করা হোক।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, পারভেজকে আমার তত্ত্বাবধানে রেখেছি। মাতার নিচে ঘারে আঘাত রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার আগে বলা যাচ্ছে না তার অবস্থা কী?
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে বলেন, পারভেজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
Leave a Reply