অগ্রযাত্রা সংবাদ: চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং তিনটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
মৌলভীবাজার সদরে বিজয়ী প্রার্থীরা
১ নং খলিলপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবু মিয়া চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৫২৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মো. অলিউর রহমান পেয়েছেন ৪৭৪২ ভোট।
২ নং মনুমুখ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমদাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৩৬৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মর্তুজা পেয়েছেন ৩১৪৯ ভোট।
৩ নং কামালপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আপ্পান আলী। তিনি পেয়েছেন ২২৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী ফয়সল আহমেদ পেয়েছেন ২১৭৯ ভোট।
৪ নং আপার কাগাবলা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমন মোস্তফা। তিনি পেয়েছেন ৩৪৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২৭৯২ ভোট।
৫ নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ মো. বদরুজ্জামান চুনু। তিনি পেয়েছেন ২৮৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী শামীম আহমেদ পেয়েছেন ২৬৭২ ভোট।
৬ নং একাটুনা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আবু সুফিয়ান। তিনি পেয়েছেন ৬৭৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ গিয়াসউদ্দিন পেয়েছেন ২১৭৯ ভোট।
৭ নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আখতার উদ্দিন আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৫৩৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহেরুল ইসলাম ভমর পেয়েছেন ৪৪০৭ ভোট।
৮ নং কনকপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রুবেল উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৩৩৪৩ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুবায়ের আহমদ পেয়েছেন ২৬৯০ ভোট।
৯ নং আমতৈল ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুজিত চন্দ্র দাশ। তিনি পেয়েছেন ৪০৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মোখলেছুর রহমান পেয়েছেন ২৪০৭ ভোট।
১০ নং নাজিরাবাদ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৩৩১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুর রহমান পেয়েছেন ২৬৫০ ভোট।
১১ নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬৪৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তোফায়েল আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৯৫ ভোট।
১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন টিটু। তিনি পেয়েছেন ৫৫৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জিলা মিয়া পেয়েছেন ৪৪৩০ ভোট।
রাজনগর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানগন হলেন-
ফতেপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নকুল চন্দ্র দাশ, প্রাপ্ত ভোট ৬১৪৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত আমীর আলী, প্রাপ্ত ভোট ৪৮৫২।
উত্তরভাগ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, প্রাপ্ত ভোট ৫২০৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক, প্রাপ্ত ভোট ৫০৭৫।
মুন্সিবাজার ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাহেল হোসেন, প্রাপ্ত ভোট ৯১৩১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছালেক মিয়া, প্রাপ্ত ভোট ৬০৭৫।
পাঁচগাঁও ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ছানা, প্রাপ্ত ভোট ৪২৬১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুল ইসলাম বাচ্চু , প্রাপ্ত ভোট ৩৮৬০।
রাজনগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, প্রাপ্ত ভোট ৫৪৩৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম সোহেল, প্রাপ্ত ভোট ৪৭৮৩।
টেংরা ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী টিপু খান, প্রাপ্ত ভোট ৬১৮৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আকমল হোসেন, প্রাপ্ত ভোট ৫৯৮৬।
কামারচাক ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতাউর রহমান।
মনসুরনগর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিলন বখত, প্রাপ্ত ভোট ৬১৯৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া মিলন. প্রাপ্ত ভোট ৪৬৫২।
উল্লেখ্য, রাজনগর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৭০১ জন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ ২০ জন।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় এই ৪র্থ ধাপের নির্বাচন।
Leave a Reply