মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ র্যাব-৯, (সিপিসি-২) শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প, মৌলভীবাজার এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের বালাগঞ্জ থানার মামলা নং- ১ তাং- ০২/০২/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-নাঃ শিঃ নিঃ আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ৯(১) তৎসহ পর্ণগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ০৮(২) এর একমাত্র এজাহারনামীয় পলাতক আসামী শেখ মোঃ শাহেদ (৩০) এর অবস্থান সম্পর্কে সংবাদ প্রাপ্ত হলে ২ ফেব্রুয়ারী বুধবার শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের আভিযানিক দলটি মৌলভীবাজার জেলার সদর থানাধীন চৌমুহনা হতে শেখ মোঃ শাহেদ(৩০), পিতা-শেখ মোঃ আব্দুল রকিব, সাং- আতাশন মোল্লাপাড়া, ডাকঘর- দনারাম, থানা- বালাগঞ্জ, জেলা- সিলেটকে মামলা রুজুর ৩ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার বিবৃতিতে জানা যায় যে, ভিকটিম (২২) এবং গ্রেপ্তারকৃত পলাতক আসামি পূর্বপরিচিত ও প্রতিবেশী বটে।
সেই সূত্র ধরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রেম-ভালোবাসা করাসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ভিকটিমকে। ভিকটিম রাজি না হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি ভিকটিমের বাড়ির পুকুর ঘাটে ক্যামেরা লাগিয়ে কৌশলে ভিকটিমের গোসল করাসহ কাপড় পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও ভিকটিমকে দেখায় এবং তার সাথে প্রেম না করিলে উক্ত ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দিবে বলে জানায়। লোকলজ্জার ভয়ে ভিকটিম বিষয়টি কাউকে বলে না এবং উক্ত ভিডিওর জের ধরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিভিন্ন দিন তারিখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল। ভিকটিম ধর্ষিতা হওয়ার পর ভিডিও ডিলিট করতে বলিলে গ্রেপ্তারকৃত আসামি টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে ভিকটিম নিরুপায় হয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামী ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের স্বার্থে উদ্ধারকৃত আলামত মোবাইল ও গ্রেফতারকৃত পলাতক আসামীকে সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply