কমলগঞ্জ,মৌলভীবাজার ঃ প্রশ্নপত্রে কুলি শব্দ ব্যবহার করায় তৈরী হয়েছে ক্ষোভ৷ চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এই প্রশ্নপত্র বাতিল ও প্রশ্নপত্র প্রনয়নের জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা আন্দোলনে নামার ঘোষনাও দিয়েছেন৷ শুক্রবার (৪ মার্চ) সকালে বিভাগীয় নির্বাচনী বোর্ডের অধীনে অফিস সহকারী/সার্টিফিকেট সহকারী/ক্রেডিট চেকিং ও নাজির পদের জন্য এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়৷ ১৬তম গ্রেডে ২২টি পদের জন্য এই নিয়োগ পরীক্ষা মৌলভীবাজারে কয়েকটি কেন্দ্রে নেয়া হয়৷ লিখিত এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ৬নং প্রশ্নে বাংলা থেকে ইংরেজীতে অনুবাদ করতে দেয়া হয়। সেখানে প্রশ্নপত্রে উল্লেখ ছিলো- “শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানী বলা হয়৷ শ্রীমঙ্গলে ৯২টি চা বাগান রয়েছে৷ শ্রীমঙ্গলের চা খুবই উপাদেয়৷ কুলিরা হাত দিয়ে চা পাতা সংগ্রহ করে৷ প্রক্রিয়াজাত চা পাতা থেকে চা উৎপন্ন করা হয়৷”
চা শ্রমিকদেরকে “কুলি” সম্বোধন করে প্রশ্নপত্র প্রনয়ন করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পরীক্ষার্থীরা৷ এঘটনার প্রতিবাদে ৫ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিংগা চা বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মনু দলই ভ্যালী সভাপতি ও ইউপি সদস্য বাবু ধনা বাউরী। রাধা শ্যাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুল চন্দ্র তাতী, বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মন্টু অলমিক, মাসুদ রানা, বৃন্দা তন্তবাই, লক্ষি কুর্মি, নিয়তি রাজ গৌর প্রমুখ। এছাড়াও উপস্তিত ছিলেন আব্দুল জব্বার, বিকাশ তাতী, কালাম মিয়া, কাজল সরদার, গোপেশ অলমিক, নিতাই তাতী, রহিম মিয়া, প্রদীপ পাত্র প্রমুখ। এছাড়াও চাবাগানের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ চা শ্রমিকসহ প্রায় ২শতাধিক লোক উপস্তিত ছিলেন। কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম উপদেষ্টা রাম ভজন কৈরী এ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানান।
Leave a Reply