জকিগঞ্জ প্রতিনিধি: জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের গৃহিনী চম্পা বেগম (৬০) ঘরে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১১ মে) রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে দুর্ধর্ষ এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চম্পা বেগম পরদিন বৃহস্পতিবার ৩ জনের নাম উল্লেখ করে জকিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী চম্পা বেগম জানানা, আমি একজন বয়োবৃদ্ধ নারী। তিন ছেলের মধ্যে ২জন প্রবাসে ও ১জন আলাদা বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। ১ ছেলের বউ ও ছোট দু’জন নাতিকে নিয়ে আমি ওই বাড়িতে বসবাস করি। আমার বাড়িতে কোন পুরুষ লোক নেই। বুধবার রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির সময় চোরেরা আমাদেরকে বাহির দিকে তালাবদ্ধ করে আমার বসত ঘরের পূর্ব পাঁশের রুম থেকে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের বস্তাবন্দি ২০/২৫ মণ ধান নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় আমার বড় ছেলে জসিম উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে চুরির বিষয়টি জানালে পাঁশের বাড়ি থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সে ছুটে আসে এবং ঘরের ভিতরে থাকা ২জন চোরকে ধরে আটকাতে গেলে তাদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময়ে চোরেরা একটি কালো চেকের শার্ট রেখে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, চুরির অভিযোগ পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই শামসুল হক সুমন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা প্রকৃত চোরদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, এসব চোরদের জন্য প্রতিনিয়ত এলাকায় ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে বাদী চম্পা বেগম বড় ছেলে জসিম উদ্দিন বলেন, মামলা উত্তোলনের জন্য আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি বাবুর বাজার থেকে গতকাল বাড়িতে যাওয়ার পথে রাতের আধারে দুজন ব্যক্তি রাস্তা ঘেরাও করে মারপিট এর চেষ্টা করে। এসময় আমি চিৎকার দিলে পাঁশের বাড়ির লোকজন আমাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, কিছু ধান উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ধান উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজন মনে হলে মামলা রেকর্ড করা হবে।
Leave a Reply