পুলিশ সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত থাকলেও এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ এমন নির্দেশনার পর থানার পরিত্যক্ত জমিতে আবাদ করে বিভিন্ন ধরণের সবজি বাগান করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। আর এমন উদ্যোগ নিয়েছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক।

(ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক থানা কমপ্লেক্সের চারপাশের পরিত্যক্ত অনাবাদি জমিতে বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি ও ফল বাগান তৈরি করেছেন যা এখন বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের সবজি তোলা হচ্ছে বাগান থেকে।

শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে সরেজমিন থানা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, থানা চত্বরে প্রায় ৬০ শতক পরিত্যক্ত অনাবাদি জায়গায় ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন ওসি আব্দুছ ছালেক। এতে লালশাক, পুইশাক, লাইশাক, বেগুন, পানি লাউ, মিষ্টি লাউ, পালংশাক, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, নাগা মরিচ, পেঁপে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, গাজর, শসা, ঢেঁড়স, লেটুস, শালগম, মুলা, ধনেপাতাসহ ২০ ধরনের শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। অবসর সময়ে ওসির পাশাপাশি থানা পুলিশের সদস্যরা নিয়মিত কাজের পাশাপাশি এই সবজি বাগান দেখাশোনা করছেন।

উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম ওসির সবজি বাগান দেখতে এসে বলেন, থানার চারিদিকে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজির চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি- এটি দেখে খুব ভালো লাগলো। ওসির সবজি বাগান থানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। আমি নিজেও একজন কৃষক। আমার বাড়িতেও পরিত্যক্ত অনেক জমিতে বাহারি রকমের সবজি বাগান করেছি। যা থেকে নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অন্যদেরও চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। ওসির এমন উদ্যোগ দেখে অন্যান্যরাও সবজি চাষে উৎসাহিত হবে বলে মনে করি।

ওসি আব্দুছ ছালেক বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃক ঘোষিত ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ এমন ঘোষণা পাওয়ার পর মাননীয় ডিআইজি স্যার ও জেলা পুলিশ সুপার স্যারের  নির্দেশনা রয়েছে- থানা প্রাঙ্গণের চারিপাশে যেখানেই পরিত্যক্ত জায়গা রয়েছে সেখানেই সবজির বাগান করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় থানার ভিতরে পরিত্যক্ত জমিতে কোন ধরণের সার ছাড়াই শুধু গোবর সার ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজির বাগান করা হয়েছে। যা থেকে প্রতিদিন সবজি তোলা হচ্ছে এবং এই সবজি প্রতিদিন থানার পুলিশ অফিসার ছাড়াও থানার মেসে পুলিশ সদস্যেদের খাওয়ার জন্য দেয়া হচ্ছে। আমি আশা করছি থানার সবজি বাগান দেখে অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও কৃষকরা যেন এ ধরণের বাগান করার উদ্যোগ নেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল মোমিন বলেন, থানা চত্বরে সবজি চাষ- এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। কৃষি বিভাগ থেকে তাদেরকে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।