মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
স্ত্রী’র সাথে শারীরিক মেলামেশা দেখে ফেলায় খুন হলেন লেবু বাগান শ্রমিক এবং খুনীরই সহকর্মী চাম্পা লাল মুন্ডা (৩৭)।এ ঘটনায় সোমবার সন্দেহভাজন মুল আসামি বিশ্বনাথ তাঁতী (৪৫) কে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পাত্রখলা চা বাগান থেকে গ্রেপ্তার করেন শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। খুনের ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ডলুবাড়ী এলাকায়। নিহত চম্পা লাল মুন্ডা কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্ধছড়া চা বাগানের রামজি মুন্ডার পুত্র। সে শ্রীমঙ্গল ডলুছড়া এলাকার জনক দেববর্মার লেবু বাগানে শ্রমিকের কাজ করে আসছিল।
নিহত চম্পা লাল মুন্ডার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্ব পুলিশের একটি টিম মাঠে নামে। ঘটনা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের চোখে পড়ে একই লেবু বাগানের শ্রমিক বিশ্বনাথ তাঁতীর বাড়ির উঠানে ও রাস্থায় রক্তের দাগ লেগে আছে।
রক্তের দাগ দেখে চম্পা লাল মুন্ডার খুনি হিসেবে বিশ্বনাথ তাতীঁকে সন্দেহ করেন তদন্তকারী দল। তবে বিশ^নাথ তাঁতীকে তার বাড়িতে খোঁজে পায়নি পুলিশ। এক পর্যায়ে বিশ্বনাথ তাঁতীকে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী পার্থখলা চা বাগান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর বিশ্বনাথের কাছ থেকে নিহত চম্পা লাল মুন্ডর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বনাথ তাঁতী জানায়, চাম্পা লাল মুন্ডাকে তার স্ত্রীর বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে লাঠি দিয়ে কপালে ও পিঠে আঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, সোমবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত বিশ্বনাথ তাঁতীকে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply