মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ
মৌলভীবাজার মডেল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির তত্বাবধানে গত ০৩/১২/২০২০ ইং রাত প্রায় ৩.৩০ ঘটিকার সময় আজাদ বখত স্কুল এন্ড কলেজ এর এস.এস.সি পরীক্ষার্থী শিউলি আক্তার (১৬) (ছদ্মনাম), পিতা-আক্কাস আলী( ছদ্মনাম), সাং-ব্রাহ্মনগ্রাম,থানা ও জেলা-মৌলভীবাজার এর সহিত হেলাল মিয়া (২৮),পিতা-ফজলু মিয়া,সাং-কদমহাটা,থানা-রাজনগর, জেলা-মৌলভীবাজার এর বাল্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিন ধার্য ছিল। ভিকটিমের বান্ধবীর মাধ্যমে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাড়িতে আলোকসজ্জা ও খাবার-দাবারের আয়োজন দেখে বিয়ে বাড়ি বুঝতে পেরে তাহার পরিবারের সাথে কথা বলেন, তাহারার বিবাহের কথা স্বীকার করেন এবং মেয়েটিকে দেখে অপ্রাপ্তবয়স্ক মনে হওয়ায় মেয়েটির জন্মনিবন্ধন ও স্কুলের রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের মধ্যে জন্মতারিখ পর্যবেক্ষনে এবং মেয়েটির নিজ ভাষ্যমতে মেয়েটির বয়স মাত্র "১৬ বছর ১৪ দিন" বলে জানা যায়। বাল্যবিবাহ যাহা বাংলাদেশ সরকারের আইন বিরোধী একটি কাজ। পরবর্তীতে মেয়েটির বাবা,মা ও নিকটাত্মীয়রা তাদের ভূলটি বুঝতে পেরে অনুতপ্ত বোধ করেন এবং এই মর্মে লিখিত আবেদন ও মুচলেকা প্রদান করেন, ১৮ বছর এর আগে তাদের মেয়েকে বিয়ে দিবে না মর্মে অঙ্গীকারবদ্ধ হইলে বাল্য বিবাহের এই আয়োজন বন্ধ করা হয় । পুলিশ জনগণের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ সমূহের কারণ নির্ণয় করে সে সব দূর করার চেষ্টা করে। তেমনি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পূর্বে সেই অপরাধ প্রতিরোধ করা হল পুলিশের নিয়মিত দায়িত্ব। যেহেতু বাল্য বিবাহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে নিয়মিত মামলার একটি বড় কারণ, তাই পুলিশ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কমিউনিটির উদ্যোগের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ জানে, আজকে যে বালিকার বিয়ে হচ্ছে সে আগামীকাল স্বামী পরিত্যাক্তা হতে পারে, অপু্ষ্টিজনিত বাচ্চার মা হতে পারে, পারিবারিক কলহে সে আত্মহত্যা করতে পারে কিংবা যৌতুকের দায়ে তাকে নির্যাতন বা হত্যা পর্যন্ত করা হতে পারে। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট বিষেশ ভাবে অনুরোধ করছি আপনারা জন্ম সনদ দেওয়ার পূর্বে জন্ম সাল যাচাই করে সনদ প্রদান করবেন। বাল্য বিবাহ রোধের জন্যে দেশের প্রত্যেক পরিবার ও প্রত্যেক মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে এবং এ নির্যাতন রোধে স্বচেষ্ট থাকতে হবে। তাহলইে বাল্য বিবাহ বন্ধ বা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে।