পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সকালে। একদিন পরেই রোববার রাতে প্রধান আসামীসহ মাদ্রাসা ছাত্রী (জান্নাতী নাহার) কে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রোববার রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ভা-ারিয়া থানায় মামলা করেছেন।
অপহৃত ছাত্রীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের শহিদ জোমাদ্দারের ফিসিং ট্রলার মাঝে মধ্যে আমার বাড়ীর সামনে খালে নোঙ্গর করে থাকে। ঐ ফিসিং ট্রলারের কর্মচারী মো. ইমরান খাঁন (২৫) নামের এক যুবক ওই মাদ্রসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। শাহজাহান খাঁনের ছেলে মো. ইমরান খাঁন এর বাড়ী পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে। গত শুক্রবার মাদ্রাসাছাত্রী একই গ্রামে মামা বাড়ী বেড়াতে যায়। এবং পরের দিন শনিবার সকাল দশটার সময় বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় আফজাল হাওলাদারের বাড়ি সংলগ্ন পাকা সড়কে ওঠামাত্র মো. ইমরান খাঁন তার বোন জামাই মো. রাজিব হাওলাদারের সহায়তায় একটি মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যান।
মামলার বাদী ও অপহৃতা ছাত্রীর বাবা বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত আমার মেয়েকে ইমরান খাঁন বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ভান্ডারিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মো. ইমরান খাঁন ও তার ভগ্নিপতি মো. রাজিব হাওলাদারের নামে রোববার রাতে মামলা করেছেন এবং রাতেই অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীকে ইদ্ধার ও প্রধান আমাসী ইমরান খাঁন কে গ্রেপ্তার করে সোমবার পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠান হয়েছে।