কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা:সুনামগঞ্জ’র শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও মন্দির ভাংচুেরর ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২১ মার্চ) সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহিলা ঐক্য পরিষদ ও তরুণ সনাতনী সংঘ (টিএসএস)’র ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি জিডিশন প্রধান সুচিয়াং এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেব ও সাংবাদিক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সত্যেন্দ্র কুমার পাল, কৃষ্ণ কুমার সিংহ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর লাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলা মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুন্না রায়, উপজেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শাব্বির এলাহী, সাংবাদিক শাহীন আহমেদ, উপজেলা জাতীয় হিন্দু মহাজোট সভাপতি অঞ্জন প্রসাদ রায় চৌধুরী, চা শ্রমিক নেত্রী গীতা রানী কানু, তরুণ সনাতনী সংঘ (টিএসএস)’র সাবেক সভাপতি অপু রায় পার্থ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিপন চক্রবর্তী, পাহাড় রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল এস পলাশ, সুনীল কুমার মৃধা, কালীপদ দেব, রঞ্জিত অধিকারী প্রমূখ। সভায় বক্তারা বলেন, আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদের ধর্ম আলাদা হতে পারে। কিন্তু, রাষ্ট্র আমাদের সবার। বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের কাছে আমাদের দেশ ও দেশের ভাবমূর্তিকে ছোট করতে একটি কুচক্রী মহল সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবী জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।