মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে চাঁপাইনবাবনগঞ্জ থেকে ফেরত আসা ৭১ জনের মধ্যে ১৭ জনের শরিরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। বুধবার ২ জুন রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ রিপোর্ট আসে। রাতেই পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমানের সহযোগীতায় ১৭ জনকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে নেয়া হয়। এরা সবাই ভ্রাম্যমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তারা গত ঈদে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাড়িতে যান। ঈদ শেষে মৌলভীবাজার ফিরে আসলে সন্দেহ হলে শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
উল্লেখ্য রোববার ৩০ মে শহরের বড়কাপন ও শহরতলীর গুজারাই এলাকায় তাদের বাসা লকডাউন করে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। পরদিন সোমবার তাদের বড়কাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে মধ্যে বড়কাপন এলাকায় বসবাসকারীদের থেকে ১৭ জনের করোনা সনাক্ত হয়। তবে গুজারাই এলাকায় বসবাসকারী কারো শরিরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
গত ২৯ তারিখে স্বাস্থ্য বিভাগ খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ৩৪ জনের করোনা টেস্ট করালে ১৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগ ও মৌলভীবাজার পৌরসভা ওই ৭১ জনকে খুঁজে বের করে।
এর আগে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৭১ জনকে ১৪ দিনের খাদ্য সাগ্রগ্রী পৌছে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা রহমান।
মৌলভীবাজার পৌর সভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান জানান, আক্রান্তরা ৭ টি চা স্টল-রেস্টুরেন্টে ও ফার্ণীচার দোকানে আড্ডা ও চা নাস্তা খাওয়ায় ওই ৭ দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই দোকান গুলোর মালিক, কর্মচারী মিলে ২০ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের শরীর থেকে করোনা টেষ্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ১৭ জন সহ ২৩ জনের শরিরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৫ ‘শ ৩২ জনের শরিরে করোনা সনাক্ত হয়। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩ শত ৩৬ জন। সরকারী হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৩০ জন। তবে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুবরণকারী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে বে-সরকাররি হিসেবে জেলার বাহিরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০ জন।