অগ্রযাত্রা সংবাদ ঃ
কঠোরতর’ লকডাউনের মধ্যেও মৌলভীবাজার সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। মৌলভীবাজার শহরের অনেক স্থানে দোকানের শাটার অর্ধেক (হাফ) খুলে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ অর্ধেকের তোয়াক্কা না করে পুরো শাটারই খোলা রাখছেন।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গেল ২৩ জুলাই থেকে মৌলভীবাজারসহ সারাদেশে দুই সপ্তাহের ‘কঠোরতর’ লকডাউন আরোপ করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার লকডাউনের ৭ম দিন চলছে।
লকডাউনের প্রথম দু-তিনদিন মৌলভীবাজারের সড়কে যানবাহনের সংখ্যা ছিল হাতেগোণা। মানুষের আনাগোনাও ছিল একেবারেই কম। কিন্তু ধীরে ধীরে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। চলাচল বেড়েছে মানুষের। খোলা হচ্ছে দোকানপাট। সেই ধারা অব্যাহত আছেও আজ বৃহস্পতিবারেও।
আজ সকাল থেকে বিকাল অবধি
মৌলভীবাজার শহরের চাদনীঘাট রোড, শমশেরনগর সড়ক,কল্পনা সিনেমা হল রোড, পশ্চিম বাজার, শহরের প্রবেশ মুখ জুগিডহর প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের বিধিনিষেধ ভেঙে বাইরে ঘোরাঘুরি করছে মানুষ। তাদের অনেকের মুখেই নেই মাস্কও। বিশেষ করে অলিগলিতে তরুণ-যুবকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। অনেক গলিতে চায়ের টং দোকান খোলা রাখা হয়েছে।
নগরীর সড়কে যানবাহনের চাপও প্রত্যক্ষ করা গেছে। ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের সাথে সিএনজি অটোরিকশার দাপট বাড়ছে সড়কে। একইসাথে রিকশা চলছে অবাধে। বেড়েছে প্রেস ও সাংবাদিক লেখা গাড়ির সংখ্যা।
এদিকে, মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় কাপড়চোপড়, ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে কাপড়ের অনেকগুলো দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, লকডাউন বাস্তবায়নে তারা মাঠে কাজ করছেন। যারা অযথা বাইরে বের হচ্ছেন, তাদেরকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিদিন অপ্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে, যানবাহন আটক করা হচ্ছে।