ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের ওপর হামলা ও তার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় পল্লবী থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলি আড্ডুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কাউন্সিলর মানিকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তারা মিয়া। একইদিনে একটি লেগুনা গাড়ি ভাঙচুর করায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটির মালিক শামসুদ্দিন খান। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সজিব খান জানান, এ ঘটনায় সোমবার ছয় জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা প্রসঙ্গে যুবলীগ নেতা আড্ডু বলেন, বহিষ্কৃত এক যুবলীগ নেতাকে নিয়ে দলে আধিপত্য বিস্তার করতে কাউন্সিলর মানিক রিকশা বিরোধী অভিযানের নামে নাটক সাজিয়েছেন এবং একই উদ্দেশ্যে মামলায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের আসামি করেছেন।
তার আগে শনিবার রাজধানী পল্লবীর ১১ নম্বরের এভিনিউ-৪ এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশাবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে রিকশাচালকদের হামলার শিকার হন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক। এ সময় কাউন্সিলরের সহযোগীরা একাধিক অটোরিকশার ব্যাটারি খুলে ফেলে দেন এবং এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে মারধর করেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রিকশাচালকরা কাউন্সিলরের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পরে এ ঘটনায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে কাউন্সিলর মানিক পাশের একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। সংঘর্ষের পরে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখেন রিকশাচালকরা। এরপর পল্লবীর প্যারিস রোডস্থ কাউন্সিলর মানিকের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
রিকশা চালকরা জানান, ১লা সেপ্টেম্বর জন প্রতি দুই হাজার টাকা করে নিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলের সুযোগ দেয় কাউন্সিলর মানিকের কর্মী লাড্ডান। পরে স্থানীয় যুব সংঘ অফিস থেকে চালকদের টোকেনও দেয়া হয়। এরপর আবার তারাই অটোরিকশা বিরোধী অভিযান শুরু করে। ওইদিন রিকশাচালকরা কাউন্সিলল মানিকের বহিস্কার ও গ্রেপ্তারসহ রিকশা বন্ধ না করার দাবি জানান।