অগ্রযাত্রা সংবাদ ঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে মুষলধারে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রযেছে। ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে ধলাই নদী সহ উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ী ছড়া সমুহে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে উপজেলার নি¤œাঞ্চল ও প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির পানি ও উজানের পাহাড়ি ঢল নামা অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিতে পারে। বন্যার আশংকায় মানুষজন আতংকে রয়েছে।শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভেশন অফিসার আনিসুর রহমান জানান,বৃহস্পতি বার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯.৮ মিলি মিটার এবং শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৩৯ মিলি মিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই আবহাওয়া আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।এদিকে ,বৃহস্পতিবার রাত থেকে অব্যাহত মুষল ধারে বৃষ্টির কারনে প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরে বাইরে বের হতে পারেনি। বৃষ্টির কারনে নি¤œ আয়ের মানুষরা কাজ করতে না পারায় দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়,বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পানি বাড়লে ও বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ধলাই নদীর পানি এখন ও বিপদসীমার ১৩ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি নামতে থাকলে ধলাই নদীতে পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আমরা সর্তক অবস্থায় আছি। ধলাই নদীর পানি এখনো বিপদসীমা অতিক্রম না করলে বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার কেওলার হাওড়,লাউয়াছড়া,ক্ষিনী ছড়া,ডালুয়াছড়া, লাঘাটা ছড়া পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নিচু জমিতে আবাদী আউশের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে ফসল হানীর আশংকা করছেন কৃষকরা।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে নিন্মঞ্চলের ফসলী জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। তবে কত টুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ধারন করা হয়নি।