অগ্রযাত্রা সংবাদঃ
সিলেট ও সুনামগঞ্জের মতো উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। জেলা প্রশাসনের হিসাবে, এখন পর্যন্ত মৌলভীবাজারের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বড়লেখা উপজেলায়। পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদী ও হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে বড়লেখা পৌর এলাকা ও ১০ ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। পানি ঢুকে গেছে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে। এর সঙ্গে পাহাড়ধসে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানে একজন নিহত হয়েছেন। সদর ইউনিয়নের কেছরিগুলে একজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কুলাউড়ায় প্লাবিত হয়েছে সাত ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম। ভেঙে গেছে কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ। গ্রামগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছে প্রায় ২ হাজার পরিবার।
এ উপজেলার ২৮ গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। তলিয়ে গেছে গ্রামগুলোর বেশিরভাগ রাস্তা। এখন পর্যন্ত ২৪টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন বাঁধ মেরামতের কাজ করছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের আংশিক প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ।
রাজনগর উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে চার ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
ভারি বৃষ্টি ও ঢলে চায়ের জন্য খ্যাত শ্রীমঙ্গলের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছে।
কমলগঞ্জে বৃষ্টি ও ঢলে ধলাই নদীর পাড় ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে যে কোন মুহুর্তে। এতে ৯ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। আমরা সব সময় পরিস্থিতি মনিটর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।