গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন পার্বত্য অঞ্চলে থাকা জঙ্গিদের খাবার, বিস্ফোরক ও জঙ্গি কার্যক্রমের রসদ পৌঁছে দিত বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
জঙ্গি সংগঠনটি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করে নাশকতা চালাতে পারে বলেও দাবি র্যাবের। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন-গোলাম সারোয়ার (২৫), সাকিব মাহমুদ (২৭), ফরহাদ হোসেন (২২), মুরাদ হোসেন (২১) ও ওয়াসিকুর রহমান নাঈম (২৮)।
রোববার পৃথক অভিযানে রাজধানীর গুলিস্তান ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-১১। তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও লিফলেট, একটি রেজিস্ট্রার খাতা ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কেউ মোবাইল যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী, কেউ আঁতর ব্যবসায়ী।
খন্দকার আল মঈন বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে নতুন যে জঙ্গি সংগঠন কার্যক্রম শুরু করেছিল তাদের বিভিন্ন দ্রব্যাদি, খাবার, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন রসদ সেখানে পৌঁছে দিত এই পাঁচজন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকটি মাধ্যমে তারা পাহাড়ে পাঠিয়ে দিত। তারা সংগঠনের অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গেও জড়িত ছিল।
সাম্প্রতিক জামাতুল আনসারের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের কারণে তারা বিভিন্ন ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেফতার গোলাম সারোয়ার হিজরতের নামে ঘর ছাড়া তরুণদের বিভিন্ন সেইফ হাউসে রাখত। পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণে পাঠাত বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
গ্রেফতার সাকিব মাহমুদ সংগঠনের একজন সশস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য। ফরহাদ হোসেন ও মুরাদ হোসেন দুই ভাই। তারা জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া সংগঠনের সুরা সদস্য এবং অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন রাকিবের শ্যালক। তারা রাজধানীর গুলিস্থান এলাকায় সংগঠনের অর্থ দিয়ে ‘ট্রাস্ট টেলিকম’ নামে একটি মোবাইল যন্ত্রাংশের দোকান পরিচালনা করতেন। তারা জঙ্গি সংগঠনে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, এই জঙ্গি সংগঠন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করে নাশকতা চালাতে পারে। ইতিমধ্যে গাইবান্ধায় একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করতে পরিকল্পনা করেছিল তারা।