নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি হাফেজিয়া মাদরাসার আবাসিকে থাকা ১৫জন শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী শুক্রবার রাত ২-৩টার দিকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের মন্দিরগাঁও হাফিজিয়া মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে। তবে গভীর রাতে মাদরাসার কাম্পাস থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি মনে করছেন সচেতন মহল।
মাদরাসায় পরিচালক মাওলানা মুজিবুর রহমান আল মাদানী বলেন, শনিবার ফজরের পর আমার কাছে খবর এলো আমাদের মাদরাসার আবাসিকে থাকা ১৫জন শিক্ষার্থীর খোঁজ মিলছে না। শুক্রবার রাত ২টা থেকে ৩টার ভেতরে তারা মাদরাসা থেকে বেরিয়ে যায়। রাত ৩টার পর থেকে সংশ্লিষ্ট অভিভাবক ও আশপাশ খোঁজ নিয়ে তাদের সন্ধান মেলেনি। পরে আমি এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দেই এবং নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিবাবকদের ফোনে বিষয়টি জানাই। অনেকে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও খবর প্রচার করেন। খবরটি জানাজানি হলে আজ দুপুরের দিকে নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের অভিভাবক ও শ্রীমঙ্গলে থানার ওসির কাছে খবর আসে যে তারা সিলেটে আছে। পরে ওসি সাহেব মুঠোফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করে শ্রীমঙ্গলে আসার অনুরোধ করলে তারা ১২টার পরে সিলেট থেকে ট্রেনযোগে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। প্রায় ২টার দিকে নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীরা শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনে নামেন। এসময় মাদরাসার শিক্ষক এবং অভিভাবকরা তাদের সেখান থেকে নিয়ে যান।
মাদরাসা থেকে ভোররাতে সিলেট পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সিলেটের হজরত শাহ জালাল (রহ.) এর মাজারে গিয়েছিলাম। তাছাড়া পড়ালেখার চাপ এবং মাদরাসার শিক্ষকের পিটুনির ভয়ে তারা পালিয়েছি।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ছাত্ররা নিখোঁজ হয়নি, পালিয়েছে। ছাত্রদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে, তারা জানায় এ মাদরাসায় তারা আর পড়তে চাচ্ছে না। মাদরাসার শিক্ষকের সাথে রাগ করে তারা সিলেটে চলে যায়। মুঠোফোনে আমি তাদেরকে বলেছি তোমরা আসো, আমরা বসে তোমাদের কথা শুনবো, বিষয়টি দেখবো। পরে তাদেরকে সিলেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।