নিজস্ব প্রতিবেদক :জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বিতর্ক আসতেই এর প্রতিবাদে সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারেও রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্কিত তত্ত্ব সামনে আসার পর এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ঘোষণা দেয় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সংগঠনের মৌলভীবাজার শাখার সঙ্গে অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা শুক্র ও শনিবার শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এতে যোগ দেন এ জনপদের শত শত শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
উপস্থিত ব্যক্তিদের মাঝে ছিলেন– কণ্ঠশিল্পী ও প্রশিক্ষক মীর ইউসুফ, নাট্যকর্মী আনোয়ার হোসেন দুলাল, কবি মহিদুর রহমান, সংগীতশিল্পী নির্বেন্দু নির্ধূত তপু, সুরঞ্জিত সুরন রণজিৎ দত্ত জনি, সুপ্রিয়া মিশ্র, মাধুরী মজুমদার, অরুণ কুমার দাশ প্রমুখ।
মৌলভীবাজারের সংস্কৃতিকর্মী শিল্পী নির্বেন্দু নির্ধূত তপু বলেন, জাতীয় সংগীতের প্রতিটি শব্দ তথা পঙক্তিতে যেমন করে বাংলার রূপ-প্রকৃতির চিত্র ফুটে উঠেছে, তা উচ্চারণে অন্তরে অন্য রকম অনুভূতির দোলা দেয়। মনের মাঝে উঁকি দেয় নদীবিধৌত সবুজ শ্যামলিমায় ঘেরা বাংলা মায়ের মুখ। প্রায় ১২০ বছর আগে লেখা সংগীতটি আজও বাংলার রূপ-প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে প্রাসঙ্গিক। এত সুবাসে ভরা জাতীয় সংগীতের বিকল্প তো আর কিছু হতে পারে না। রাষ্ট্র সংস্কারের নামে জাতিসত্তায় আঘাত দিলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।