নিজস্ব প্রতিবেদক:সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জে গতকাল শনিবার রাতে ৪ ঘন্টা টানা সংঘর্ষের পর রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ফের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে উপজেলাটি।
সকাল থেকে মাইকে গ্রামবাসীকে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানোর আহবান জানানো হয়। পরে উপজেলার থানা বাজার পয়েন্টে তিন গ্রামের মানুষ দেশি অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। দফায় দফায় সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হওয়ার পর বেলা আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনী ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
জানা গেছে, মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি হয় বর্ণি গ্রামের বাবুল নামের একজনের সাথে কাঠালবাড়ী গ্রামের এক ব্যক্তির। তুচ্ছ এই ঘটনায় হাতাহাতি হয়। পরে কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের কয়েকজন সেখানে থাকলে সংঘর্ষটি কাঠালবাড়ী ও কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের সাথে লেগে যায়। দুই গ্রাম গত রাতে ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন। অনেকগুলো মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে এবং দোকানপাট ভাংচুর হয়েছে এতে আহত হয়েছেন অনেকেই আজ সকালে উপজেলার বর্ণি গ্রাম মাইকিং করে কাঠালবাড়ি গ্রামের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। আগের রাতে চার ঘন্টা সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী এসে তাদের নিবৃত্ত করে।
এরপর রবিবার সকাল থেকে ফের কাঠালবাড়ী গ্রামের লোকজন একত্রে জড়ো হন থানা বাজার নামক স্থানে । এরপর দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোটাসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে অসংখ্য আহতের খবর পাওয়া গেছে। একটি বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
বেলা আড়াইটার দিকে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাদের দুই দিকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে দুই গ্রামের লোকজনই দুই পাশে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি এখনো থমথমে।