মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: ঢাকায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। এনসিটিবি কর্তৃক বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে 'সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসী সংগঠন "স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি" এর নৃশংস সন্ত্রাসীর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মৌলভীবাজারের চৌমুহনা চত্বরে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম মৌলভীবাজার জেলার প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ফ্লোরা বাবলী তালাং এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জনক দেববর্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলিমেষ ঘোষ বলু, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত, কৃষক নেতা খছরু চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ জেলা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, আদিবাসী নেতা ফিলাপতমী, চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, ববিতা ডিও, মনিকা খংলা, যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুকান্ত নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে টিসি মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। বক্তারা বলেন, ৭১ এর পরাজিত আলবদররা বাংলার রাজনীতিতে অদিষ্ট হয়ে মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট ফর সভারেনটি তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। দেশে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, সকল জাতি গোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস-সংস্কৃতি তুলে ধরা সময়ের দাবি।
সমাবেশ থেকে পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি পুনর্বহাল, পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসীথদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা, সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বুধবার ১৬ ই জানুয়ারি ভুঁইফোড় সংগঠন 'স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি' নামক সংগঠন আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যে পৈশাচিক হামলা করে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে এটা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে সাংঘর্ষিক। তারা সংগঠনের নামে সভেরেন্টি রেখেছে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে তারা কিভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। বাংলাদেশের আদিবাসীদের পূর্ণ সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভুমির অধিকার দিতে হবে।
আদিবাসীরা কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় এই বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা মুখ্য ভুমিকা রেখেছেন। আদিবাসী শব্দের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে একটা বিচ্ছেদে রাজনীতি জিইয়ে রাখা হচ্ছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবী সরকারে দাবী জানানো হয় এবং ‘আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান।