প্রতিনিধি: শাহরিয়ার খান কল্লোল
প্রায় সকলের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগছে হারটা। ৪৩ বলে দরকার ৬৫ রান, হাতে ৮ উইকেট—এই ম্যাচ তো জিতে বেরিয়ে আসবে দুনিয়ার যেকোনো দলই। খুব আহামরি বোলিংও যে ভারতীয় বোলাররা করছিলেন, এমনটা নয়। কিন্তু তারপরেও ম্যাচটা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। জয়ের পথে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩৩ রানের হার সঙ্গী মাহমুদউল্লাহদের।
খেলার শুরুতে লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের উইকেট হারালেও মোহাম্মদ নাঈম আর মোহাম্মদ মিঠুনের তৃতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৯৮ রানের জুটিটাই ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল বাংলাদেশকে। কেবল ফিরিয়েই আনেনি নাগপুরের বিদর্ভ স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শককে রীতিমতো স্তব্ধ করেই দিয়েছিল। কপালে ভাঁজ পড়েছিল ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার। কিন্তু মিঠুন ফিরতেই দলের ব্যাটিং ভেঙে পড়ল তাসের ঘরের মতো। ভাবা যায় নাঈমের ৮৮ আর মিঠুনের ২৭ ছাড়া দলের কোনো ব্যাটসম্যানেরই সংগ্রহ দুই অঙ্কের নয়!
[ ৪৩ বলে দরকার ৬৫ রান, হাতে ৮ উইকেট। এমন অবস্থাতেও ৩৪ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে শেষ ৮ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সের কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ]
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহর কাছে এই বিপর্যয়ের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বলতে পারেননি তেমন কিছুই। বলেছেন ভবিষ্যতে এমন বিপর্যয় যেন না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা, ‘আমরা জেতার পথেই ছিলাম। কিন্তু ৬-৭ বলের মধ্যে ৩-৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমার মনে হয়, এটাই ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এমন ভুল যেন ভবিষ্যতে না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
কাল বাংলাদেশ যে পরিস্থিতিতে ছিল, সে অবস্থা থেকে যেকোনো দলই খেলা শেষ করে আসত। বড় দল তো করতই। মাহমুদউল্লাহ কোনো ব্যাখ্যা-ট্যাখ্যায় না গিয়ে বললেন সেটিই, ‘এমন পরিস্থিতিতে আসলে বড় দলগুলো খেলা শেষ করে আসে। আমাদের কীসের ঘাটতি, দৃঢ়তার কিনা, জানি না। উইকেটও ভালো ছিল। আসলে আমরা ব্যাটসম্যানরাই ব্যর্থ হয়েছি। এটা আমাদেরই ভুল।’
Leave a Reply