সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ পৌরশহরের গুজাউড়া হাছননগরে এনামুল হক মুসা (তালহা) নামের চার বছরের এক শিশুকে মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। নিহত শিশুটি গুজাউড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় স্থানীয় লোকজন আব্দুল হালিম নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। হালিমের বাড়ি সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে। পুরো ঘটনাটি পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরা ধরা পড়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিশু তালহা শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এসময় রাস্তা দিয়ে যাওয়া আব্দুল হালিম নামের নেশাগ্রস্ত ওই যুবক প্রথমে তাকে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর একটি ভারী পাথর দিয়ে তালহার মাথায় উপর্যুপরি অন্তত পাঁচবার আঘাত করে। এতে হালিমের মাথা থেঁতলে যায় ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পাশের বাড়ির লোকজন গুরুতর আহত তালহাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তালহাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. শহীদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। একটি শিশুকে এভাবে কেউ খুন করতে পারে? স্থানীয় লোকজন এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে একেক সময় একেক কথা বলছে। তবে পাশের একটি সিসিটিভির ক্যামেরায় ঘটনা ধরা পড়েছে।
Leave a Reply