অগ্রযাত্রা সংবাদঃ মৌলভীবাজারে নিজ বাসায় ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় এ এম খলিল উল্লাহ মুক্তি (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ (বুধবার) দুপুর ১টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কের এম আব্দুল্লাহ ভবনের একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খলিল উল্লাহ মুক্তি মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্ট ঠিকাদার প্রয়াত এম আব্দুল্লার চতুর্থ পুত্র। ৪ভাই ও ২বোনের মধ্যে মুক্তি ছিলেন চতুর্থ। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় বুধবার দূপুরের দিকে পুরাতন হাসপাতাল সড়কের এ এম আব্দুল্লা ভবনের বাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মুক্তির মৃতদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। মৃতদেহ দেখেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুরু হয় আর্তচিৎকার। এ সময় তার কক্ষের দরজা খোলা ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াছিনুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বদি উজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। এসময় সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সল আহমদ,১ নং ওয়াডের কাউন্সিলর এডভোকেট পার্থ সারথী পালসহ বিপুল সংখ্যক প্রত্যক্ষদর্শী উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে এম্বুল্যান্সে করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াছিনুল হক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন আসলেই জানা যাবে প্রকৃত কারণ। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় খলিল উল্লাহ মুক্তি দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তার ৩সন্তান ও স্ত্রী রয়েছেন। তবে দেশে এসে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে পুরাতন হাসপাতাল সড়কের নিজ বাসায় বসবাস করে আসছেন। দেশে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন তার ২কন্যা সন্তান। তবে ঘটনার সময় ওই বাসায় ছিলেননা তার স্ত্রী। তার মৃত্যুকে ঘিরে নানা রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।
উপস্থিত অনেকে বলেন,মুক্তির আত্বাহত্যা করার নেপৈত্তে কারন কি? নিজ বাসার ৩য় তলার কক্ষে ফ্যানে ঝুলানো নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
Leave a Reply