অগ্রযাত্রা সংবাদঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগর ইউনিয়নের সতিঝিরগাঁও এলাকায় ৩ জন কৃষকের দেড় একর জমির ধান কেটে দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. জুয়েল আহমেদের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে বুধবার (২৮ এপ্রিল) ধান কাটা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন।
সকাল সাড়ে ১০টায় কমলগঞ্জের শমসেরনগর ইউনিয়নের সতিঝিরগাঁও এলাকায় কৃষক ফজলুল হক, আব্দুর রশিদ, অপু মিয়ার জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের এমন সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কৃষক ফজলুল হক, আ. রশিদ ও অপু মিয়া। যুবলীগকে ধন্যবাদ দিয়ে এ তিন কৃষক বলেন, ‘ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলেও করোনার কারণে শ্রমিক সংকটে পড়েছি। এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি বেশি হওয়াতে ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পেরে ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। যেখানে শ্রমিকের অভাবে জমির পাকা ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলাম আমরা, সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে যুবলীগের নেতাকর্মীরা জমির সব ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।’
কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, ‘করোনার ২য় ঢেউয়ে শ্রমিক ও অর্থ সংকটের কারণে দেড় একর জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না শমসেরনগর ইউনিয়নের সতিঝিরগাঁও এলাকায় কৃষক ফজলুল হকসহ তিন কৃষক। ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আমি খবর পেয়ে ২য় দফায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় যুবলীগের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যাই। আমরা ওই তিন কৃষকের দেড় একর জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার এই দুর্যোগকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তার বাস্তবায়ন ঘটাতেই কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে আমরা উপজেলা যুবলীগ এ ধান কাটা কর্মসূচি পালন করছি। যুবলীগের ধান কাটার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল কমলগঞ্জ পৌর এলাকার খুশালপুর গ্রামের ৩ কৃষকের এক একর জমির ধান কেটে দিয়েছিল উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।