গাজীপুর, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জ উপজেলার নাগরী ও তুমিলিয়া ইউনিয়নে এসডিডিবি প্রকল্প কর্তৃক গঠিত ১৭টি প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের হিতৈষী ক্লাবের উদ্যোগে এবং কারিতাসের সহযোগিতায় স্ব স্ব ক্লাবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন করা হয়। এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘‘ডিজিটাল সমতা সকল বয়সের প্রাপ্যতা” সামনে রেখে দিনব্যাপি তুমিলিয়া ও নাগরী ইউনিয়ের নিজেস্ব ক্লাবে স্ব-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। প্রতিটি স্থানে কার্যক্রমের শুরুতে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা র্যালীর মাধ্যমে প্রদক্ষিণ করা হয়। র্যালী ছাড়াও কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লটারী ড্র এবং প্রবীণদের সম্মাননা প্রদান। প্রতিটি স্থানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ক্রেডিট ইউনিয়নের প্রতিনিধি, উন্নয়ন মিত্র, শিক্ষক-শিক্ষিকা এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধি, সমাজসেবক, যুবক-যবতী, প্রবীণ, প্রতিবন্ধীসহ প্রায় ছয় শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রতিটি স্থানে উপস্থিত ছিলেন কারিতাস এসডিডিবি প্রকল্পের জুনিয়র কর্মসূচী কর্মকর্তা নির্ণয় নরবার্ট শর্মা, মাঠ কর্মকর্তা জয়ন্ত মজুমদার, এনিমেটর অনিল চন্দ্র রায়, সিএমএফপি প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা প্রদীপ চন্দ্র দাস, প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী মাঠ কর্মকর্তা শিপ্রা রোজারিও ও লিনুচ শ্যামল গমেজ এবং জিএফইএমএস প্রকল্পের মাঠ কর্মকর্তা যোসেফ ডি সিলভা ও কেইস ওয়ার্কার কবিতা ঘোয়াল।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন যে, বর্তমানে আমরা ডিজিটাল বা তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাস করছি। তথ্য প্রযুক্তির কোন এক শ্রেণীর বয়সের জন্য নয়। এই তথ্য প্রযুক্তি আমাদের সকলের জন্য। আমরা টেকশই উন্নয়নকে সামনে রেখে কাজ করছি আর টেকশই উন্নয়ন কাউকে বাদ দিয়ে করা সম্ভব নয়। সেই জন্য যেকোন বয়সের মানুষকেই উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রবীণ ব্যক্তিরা আমাদের সমাজের শিকড়। সমাজের শিকড়কে বাদ দিয়ে সুস্থ্য ও সুন্দর সমাজ গঠন করা যায় না। তাই প্রতিনিয়ত শিকড়ের যত্ন নিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর পাশাপাশি কারিতাস এসডিডিবি প্রকল্পও প্রবীণদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আজকের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন তারই বহি:প্রকাশ। আমরা বিশ্বাস করি খুবই নিকট ভবিষতে আমরা সকলে মিলে একত্রে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করলে সমাজে প্রবীণদের মাঝে কোন দু:খ-কষ্ট থাকবেনা আর আমরা সকলে মিলে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে সুন্দর সমাজে বাস করতে পারবো।
উল্লেখ্য যে, প্রতিটি স্থানে সমাজের সর্বোচ্চ বয়োজৈষ্ঠ ব্যক্তিদের ফুলের মালা ও সম্মাননা উপহার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে নবীন ও প্রবীণদের যৌথ অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Leave a Reply