চট্রগাম প্রতিনিধি ঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলাধীন ছনুয়া-শেখেরখীল সংলগ্ন জলককদর খাল পারাপারের জন্য ব্রীজ আছে কিন্তু ব্রীজের দু’পাশে সড়ক নেই।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে, উপজেলার শেখেরখীল ইউপিস্থ মৌলভীবাজার সংলগ্ন জলককদর খালের উপর পুরানো বেইলী ব্রীজটির পাটাতন গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে দীর্ঘদিন যাবত ছনুয়া- শেখেরখীল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল,যার ফলে উভয় ইউনিয়নের জনসাধারণের অনেক দাবির প্রেক্ষিতে ওই স্থানে নতুনভাবে একটি পাকা ব্রীজ স্থাপন করা হয়। নতুন ভাবে ব্রীজ স্থাপন করা হলেও দু’পাশে উঠা-নামার সংযোগ সড়ক না থাকায় এখনও পর্যন্ত দূর্ভোগ কাটেনি ওই এলাকার সাধারণ জনগণের।বর্তমানে স্থানীয় সিএনজি, টমটম, অটোরিকশা গাড়ীর ড্রাইভারদের নিজ উদ্যোগে দু’পাশে অল্প কিছু বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ পারাপারের ব্যবস্থা করতে তদন্তকালে দেখা গেছে।
ওই ব্রীজটি নতুন ভাবে পাকা নির্মাণ করার জন্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ব্রীজটি নতুন ভাবে স্থ কাজ ওই এলাকার স্থানীয়দের দাবিতে ব্রীজ পেলেও পাইনি ব্রীজ হয়ে পারাপারের উভয় পাশের সংযোগ সড়ক।যার ফলে এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ব্রীজটি সড়ক থেকে প্রায় ৮/১০ ফুট উঁচু, আর উভয় পাশের উঠা নামা সড়ক প্রায় ৮/১০ ফুট নিচে, যার দরুন গাড়ী চলাচল দুরের কথা বরং পায়ে হেঁটে ব্রীজে উঠাও মুশকিল।
স্থানীয়রা বলেন,দীর্ঘদিনের দাবিতে পাওয়া মৌলভীবাজার ব্রীজটির দু’পাশের সংযোগ সড়ক দ্রুত নির্মাণ করে শেখেরখীল-ছনুয়ার জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্যে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
এব্যাপারে শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াছিন তালুকদার বলেন, ইতিপূর্বে মৌলভীবাজার সংলংগ্ন জলককদর খালের উপর একটি পুরনো বেইলী ব্রীজ ছিল,ওই ব্রীজটির পাটাতন গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন ভাবে একটি পিসি ঢালাইযুক্ত নতুন ব্রীজ স্থাপন করা হয়েছে, কিন্তু দূর্ভাগ্যের হলো সড়ক থেকে ব্রীজটির উচ্চতা হওয়াতে গাড়ী পারাপার দূরের কথা মানুষ পায়ে হেঁটেও পারাপারে কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে, ব্রীজ নির্মাণ কাজের দ্বায়িত্ব। কন্ট্রাক্ট্যার ব্রীজের দুু’পাশে মাটি ভরাট করে না দিয়ে কাজটি এভাবে ফেলে চলে গেছে বলেও জানান চেয়ারম্যান ইয়াছিন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমি মৌলভীবাজার এলাকার নতুন ব্রীজ এলাকা সরেজমিনে দেখেছি, ব্রীজটির দু’পাশের সংযোগ সড়ক স্থাপন করতে শক্ত মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে, কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আশপাশের জায়গাতে পানি ভর্তি থাকায় শক্ত মাটি পাওয়া যায়নি, তবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্রীজটির দু’পাশের সংযোগ সড়ক শক্ত মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হবে বলে জানান আশরাফুল।
Leave a Reply