(পিন্টু দেব নাথ)
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম তরফদার এর ১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৬ মার্চ । মোঃ সিরাজুল ইসলাম একজন সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও মহালদার ছিলেন। সমাজ উন্নয়নে তিনি রেখে গেছেন বিশাল অবদান। একজন ন্যায় পরায়ণ ও ন্যায় বিচারক হিসাবে সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
২০০৬ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনগণের ভোটে বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি রহিমপুর ইউনিয়নবাসীর কাছে নয়নের মণি ছিলেন। কারণ তাঁর সময়কালে ইউনিয়নবাসী নিরাপদ ছিল। চুরি, ডাকাতি, অন্যায়, অত্যাচারসহ যে কোন বাজে কার্যকলাপ করতে সাহস পেত না দুষ্টচক্ররা। একজন চেয়ারম্যান এর দক্ষতা ও বলিষ্ট নেতৃত্বে রহিমপুর ইউনিয়নবাসীকে ঢেলে সাজিয়ে ছিলেন। জনগণও স্বস্তি বোধ করে।
তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসাবে দীর্ঘ যাবৎ ছিলেন। তিনি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত থাকলে দলমত নির্বিশেষে সকলের সাথে ছিল সুসম্পর্ক। জীবনে অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে তিনি নানাভাবে সফলতা অর্জন করেন। এই অর্জন এখনও জনগণের কাছে সমাদৃত। তাঁর অবদানের কথা মানুষ কখনই ভুলতে পারেন না।
মুত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন। সকলই এখন স্ব স্ব ভাবে প্রতিষ্ঠিত। বিশেষ করে ২য় পুত্র নাহিদ আহমেদ তরফদার বিগত ৫ জানুয়ারি ২০২২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সীবাজার ইউনিয়নে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একজন যোগ্য পিতার যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে প্রথম বারের মতো মাত্র ১৩ দিন প্রচার প্রচারণা করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। পিতার অবদানে পুত্রের জয়। এ যেন জনগণের ভালোবাসা।
মরহুম সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুতে যে অভাব দেখা দিয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।১৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
Leave a Reply