অগ্রযাত্রা সংবাদঃ
পদ্মা সেতুতে প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে যানবাহনের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়।পরবর্তী আট ঘণ্টায় সেতুর জাজিরা প্রান্তে মোট ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়।
একই সময়ে দুই প্রান্তে গাড়ি যাতায়াত করে ১৫ হাজার ২০০টি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আট ঘণ্টায় দুই পাড়ে মোট ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা এই পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। একইসঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেনবিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে জানানো হয়, সেতুতে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। এছাড়া পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, পদ্মা সেতুর ওপর যেকোনও ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা
এর আগে, শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার ভোর ৬টা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়। সকালে পদ্মা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল দিয়ে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পার হচ্ছে।
ও হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তিন চাকাবিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা ইত্যাদি), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়িযোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না। গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না। সেতুর ওপরে কোনও ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Leave a Reply