বিশেষ প্রতিনিধি:
উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে একসঙ্গে পাশ করেছেন মা ও ছেলে। তাদের ফলাফলে খুশির জোয়ার বইছে ওই এলাকায়। ছেলে সুমেন চাকমার সঙ্গে এবার এইচএসসি পাস করেছেন মা মানেক পুতি চাকমা। তিনি পানছড়ি উপজেলার ২ নম্বর চেঙ্গী ইউনিয়নের রত্নসেন পাড়ার সুলেন্দু বিকাশ চাকমার স্ত্রী।
মানেক পুতি চাকমা দীঘিনালা সরকারি কলেজের আওতাধীন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৩.৬৭ পেয়েছেন। তাঁর ছেলে সুমেন চাকমা পানছড়ি সরকারি ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৩.৩৩ পেয়ে পাস করেছেন।
সুমেন বলেন, মায়ের পড়াশোনার আগ্রহ তাঁকে দ্বিগুণ উৎসাহিত করেছে। তাঁর মা আরও পড়াশোনা করতে চান। এখন এলাকার সবাই মা ও ছেলেকে একসঙ্গে স্নাতকে ভর্তির জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা গতবারের চেয়ে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ কম।
ফলাফলে দেখা গেছে, এবার মোট ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন, যা গতবারের চেয়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৪ জন কম। গত বছর পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ থাকলেও এ বছর তা ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০২২ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯। ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১২ হাজার ৮৮৭ জন।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, সিলেটে ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ ও যশোরে ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪২১ জন, রাজশাহীতে ২১ হাজার ৮৫৫ জন, কুমিল্লায় ১৪ হাজার ৯৯১ জন, যশোরে ১৮ হাজার ৭০৩ জন, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ৬৭০ জন, বরিশালে ৭ হাজার ৩৮৬ জন, সিলেটে ৪ হাজার ৮৭১ জন, দিনাজপুরে ১১ হাজার ৮৩০ জন ও ময়মনসিংহে ৫ হাজার ২৮ জন। আর মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৪২৩ জন ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পেয়েছেন ৭ হাজার ১০৪ জন।
Leave a Reply