নিজস্ব প্রতিবেদকঃখাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ডাকা হলেও ৬০ ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিন গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় অবরোধ তুলে নেয় জুম্ম ছাত্র-জনতা।
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর গতকাল সন্ধ্যা থেকে আবার যান চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পার্বত্য জেলাগুলো।
খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের ম্যানেজার সুমন দেব জানান, শান্তি পরিবহনের বাস লাইনে দাঁড়িয়েছে, দু-একটি চলছে। আজ সকাল থেকে আগের মতো পুরোপুরি চলাচল শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ১৪৪ ধারা ও অবরোধ প্রত্যাহারের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাঙামাটির পরিবেশও। গতকাল সকাল থেকেই রাঙামাটি শহরে অটোরিকশা চলাচল করেছে। আর সন্ধ্যা থেকে দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে।
জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য শহরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও সেনাবাহিনী। গতকাল বিকেলে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সভা করেন জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন খান ও পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন।
সভায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বলেন, পাহাড়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয় না। তারা অপরাধ করে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ায়। তাদের আইনের আওতায় আনা না হলে জনমনে শান্তি ফিরবে না। প্রশাসনের কাছে মানুষ আস্থা পাবে না।
হামলাকারীদের অধিকাংশ বাস, ট্রাক, ফার্নিচার, মৎস্য, করাতকলের শ্রমিক এবং বস্তির লোকজন দাবি করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা বলেন, হামলাকারীরা অধিকাংশ অস্থায়ী মানুষ। তাদেরকে ব্যবহার করছে কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন।
জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্তদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সহিংসতার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। সরকারের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ দুটি মামলা নিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিতে অনুরোধ করেন এসপি।
Leave a Reply