মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মেয়ের জামাই (বর্তমানে জেল হাজতে) আবুল কালাম (৪৫), তার বোন নাজমিন বেগম (২৫), আফিয়া বেগম (২৭), শাফিয়া বেগম (৩০) ও মা- ফতেমা বেগম (৬০)সহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ শারিরিক-মানষিক, মারধর, নির্যাতন ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শশুর আতাউর রহমান (৬০)। আজ ৭ অক্টোবর দুপুরে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জানান- সুমি বেগম-এর সহিত প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয় ২নং পতনউষার ইউনিয়নের (বর্তমান ঠিকানা- ১নং রহিমপুর ইউনিয়ন এর চৈত্রঘাট ইউনিয়স্থ কালিমন্দির সংলগ্ন বাসা) ইছমত উল্লাহ-এর পুত্র আবুল কালাম এর সাথে। বিাবাহের পর থেকেই তাকে শারিরিক-মানষিক ভাবে নির্যাতন করা হতো। মেয়ের ওরষজাত ১৩ বছরের ছেলে ও ৫ বছরের মেয়েসহ পরিবারের সুখের চিন্তা করে এ সব বিষয় মুখবুঝে সব সহয্য করেন। কিন্তু তবুও নির্যাতন বন্ধ হয় নি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মেয়েকে মারধর ও জখম করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শেষে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাড়ীতে আসার পর সে মুঠোফোনে মারধর ও নির্যাতনের বিষয়টি অবগত হয়ে মেয়েকে দেখতে তার শশুরালয়ে আসা মাত্র মেয়ের জামাই, তার মা-বোনসহ অন্যান্যরা আমাদেরকে অশ্রিল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় তাকে প্রাণে হত্যা করার উদ্যোশ্য মাথা লক্ষ্য করে ধারালো দা দিয়ে ছেদ মারিলে আমার কপাল গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। জখমপ্রাপ্ত স্থানে ৬টি সেলাই লাগে। তাদের হাতে থাকা কাঠের রুইল, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়া আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। সাথে থাকা অন্যান্যদের রক্ষা করতে মেয়ে সুমি বেগম এগিয়ে আসলে তার তলপেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তার যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরন হচ্ছে। হাল্লা চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া তাদের কবল থেকে রক্ষা করেন। এবং চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঘটনাটি কমলগঞ্জ থানার পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হামলার সাথে জড়িত মেয়ের জামাই আবুল কালাম-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। মেয়ের শাশুরী ফতেমা বেগমসহ তাদের সহযোগীরা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান, অপপ্রচার করে সামাজিক ভাবে সম্মান ক্ষুন্ন করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে – মেয়ে সুমি বেগম,তার ছেলে রাফি আহমদ, তার কন্যসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply