নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়তই। কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা- আবর্জনার স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। এতে করে পথচারী, রোগী, স্কুল শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই সড়ক পার হতে হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, মুন্সিবাজারের চারপাশে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের কারণে পথচারীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। এতে প্রতিদিনই তাদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এইস্থানে আসলেই নাক চেপে চলাচল করতে হয় তাদের। সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সিবাজারের পাশে সড়কের পুর্ব পাশে ময়লা-আবর্জনা রয়েছে। পাশেই আছে মুন্সিবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পোষ্ট অফিসসহ দোকানপাট। সেখানে প্লাস্টিকের বোতল, কার্টুন, কর্কশিট, কাগজ, পলিথিন, বস্তা, উচ্ছিষ্ট খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে স্তূপাকারে রয়েছে। এসব আবর্জনা অনেক সময় গড়িয়ে পড়ছে সড়কে। এছাড়াও ওই রোড দিয়ে কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় , প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। ময়লার স্তূপে আসা মাত্রই শিক্ষার্থীসহ সকল ধরনের যাত্রীকে নাক ও মুখ চেপে ধরে পার হতে হয়। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি আশপাশও বাজারের সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পথচারী বিজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। পাশে ময়লা-আবর্জনা অসহ্য দুর্গন্ধে চলাচল করতে মন চায় না। স্থানীয় ভুক্তভোগী সালেহ আহমদ বলেন, ‘ময়লার দুর্গন্ধের কারণে বাজারে কেনাকাটা করতে কষ্ট হয়। দোকানিরা তাদের দোকানের ময়লা-আবর্জনা রাস্তার পাশে ফেলে রাখে, সেজন্য চলাচলে অনেক বাধা সৃষ্টি করে। বাজারের ব্যবসায়ী কাজল দাশের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাজারের পাশেই এই ময়লার- আবর্জনা রাখায় দুর্গন্ধে পুরো বাজার ভরে যায়। দোকানে বসে ব্যবসা করা অনেকটা কষ্টকর। বেশি সমস্যা হলে এয়ার ফ্রেশ স্প্রে করতে হয়। এই স্থানে একটা ডাস্টবিন তৈরি করা হলে সবাই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা- আবর্জনা ফেলতো। এ বিষয়ে বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জুনেল আহমদ তরফদার বলেন, ‘এখানে বাজারের সামান্য ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। অন্য কোনো জায়গাও নেই যে সেখানে তারা ফেলবে। কয়েকদিন পরপর আগুন দিয়ে এগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও আমরা বিকল্প ব্যবস্থা খুজতেছি।
Leave a Reply